আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবীর সাথে সংহতি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের শোবিজ তথা ভিজ্যুয়াল মিডিয়ার শিল্পী, নির্মাতা, কলাকুশলীরা। রাষ্ট্র কিংবা সরকারের কাছে এমন বেশ কিছু চাওয়া নিয়ে শোকের মাসের প্রথম দিনে (১ আগস্ট) রাজধানীর হৃৎপিণ্ডখ্যাত সড়ক মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে দাঁড়ান সাংস্কৃতিক কর্মীরা।
বুধবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় এমনটাই নিশ্চিত করেন ‘দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজ’-এর ব্যানারে যুক্ত হওয়া সংস্কৃতিকর্মীরা। সংহতি প্রকাশ করা এসব তারকারা হলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, নূরুল আলম আতিক, আজাদ আবুল কালাম, ধ্রুব হাসান, পিপলু আর খান, অমিতাভ রেজা চৌধুরী, মুনেম ওয়াসিফ, ঋতু সাত্তার, তাসলিমা আকতার লিমা, তানিম নূর, সৈয়দ আহমেদ শাওকি, ওয়াহিদ তারেক, রেদওয়ান রনি, আমিরুল রাজিব, নুসরাত ইমরোজ তিশা, তানজিম ওয়াহাব, জাহিন ফারুক আমিন, তানভীর আহসান, ইয়াছির আল হক, শঙ্খ দাশগুপ্ত, সাবিলা নূর, নাসিফ আমিন, তাসনিয়া ফারিণ, হুমাইরা বিলকিস, শিবু কুমার শীল প্রমুখ।
বৃহত্তর চলচ্চিত্র, আলোকচিত্র, থিয়েটার, গণমাধ্যমসহ দৃশ্যমাধ্যমের নানা শাখার কর্মীরা ‘দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজ’-এর ব্যানারে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে হত্যা-সহিংসতা-গণগ্রেফতার-হয়রানির প্রতিবাদে এবং সব হত্যার হিসাব ও বিচার করা, গুলি ও সহিংসতা বন্ধ, গণগ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ, আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে এদিন সড়কে দাঁড়ান তারা।
তাদের দাবি, অবিলম্বে সব হত্যাকাণ্ডের বিচার ও হত্যা, সহিংসতা, গণগ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘যেই ন্যায্যতা, সমতা ও মানবিক মর্যাদার অঙ্গীকার নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ঘটেছিল স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়, সেই বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। সেই অধিকার নিয়েই আমরা রাজপথে দাঁড়ানোর প্রয়োজন মনে করেছি।’